আজ শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস
নভেল চৌধুরী ♦ ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে ইতিহাসের অন্ধকার দিন হলো এই ১৪ ডিসেম্বর। এই ১৪ই ডিসেম্বর রাজাকার ও আলবদরের মদদে জঘন্যতম হত্যাকাণ্ড চালায় পাক হানাদার বাহিনী। এ হত্যাকাণ্ডের শিকার হন হন বাংলার সোনার ছেলেরা। চিকিৎসক, সাংবাদিক, বাংলা সাহিত্যিকসহ দেশের অনেক শ্রেষ্ঠ সন্তানদের প্রাণ কেড়েছিল এই পাক হানাদার বাহিনী। প্রত্যেক বছর এই ১৪ই ডিসেম্বর পালিত হয় শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস।
পাক বাহিনীর এ হত্যাকাণ্ডের মূল উদ্দেশ্য ছিল পূর্ব পাকিস্তানের সকল বুদ্ধিজীবীদের ধ্বংস করে দেয়া। পাক বাহিনী এরকম জঘন্যতম হত্যাকাণ্ডে কতজন বুদ্ধিজীবীদের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে তার প্রকৃত সংখা গণনা করা হয় নি।
১৯৭২ সালে প্রকাশিত ‘বাংলাদেশ’ শীর্ষক গ্রন্থের সূত্রানুযায়ী, ৯৯১ জন শিক্ষাবিদ, ৪২ জন আইনজীবী, ৪৯ জন চিকিৎসক, ১৬ জন সাহিত্যিক, শিল্পী ও প্রকৌশলী ছিলেন।
এ বুদ্ধিজীবী হত্যার পরিকল্পনা করা হয় ১২ ডিসেম্বর ১৯৭১ সালে। মেজর জেনারেল রাও ফরমান আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয় গোল শলা পরামর্শ। তার ডাকে সেখানে উপস্থিত হয়েছিলেন আলবদর ও আল শামসের কেন্দ্রীয় অধিনায়কেরা। তাদের পরাজয় নিশ্চিত জেনে ১৪ই ডিসেম্বর বুদ্ধিজীবীদের ওপর আঘাত হানার চুড়ান্ত পরিকল্পনা করে পাক হানাদার বাহিনী।