রংপুর হাসপাতালে দালাল বিরোধী অভিযানে ৬ জনের শাস্তি
দালাল বিরোধী অভিযান অব্যাহত থাকবে
স্টাফ রিপোর্টার ♦ রংপুর মেডিকেল কলেজ (রমেক) হাসপাতালে দালাল বিরোধী অভিযানে ৬ জনকে শাস্তি দেওয়া হয়েছে। এরা হলো, নগরীর খটখটিয়া দোলাপাড়ার মহসিন মিয়ার মেয়ে জেসমিন বেগম (৩৫), পীরগঞ্জ উপজেলার রসুলপুরের আজগর আলী’র মেয়ে মোছাঃ জেসমিন, গঙ্গাচড়া খানাটারী’র নুর ইসলামের ছেলে শাকিল হোসেন (৩০), নগরীর ধাপ হাজীপাড়ার হাসেন আলী’র ছেলে আতাউর রহমান আতা (২৮), মিঠাপুকুর পশ্চিম বড়বালা গ্রামের মোসলেম উদ্দিনের ছেলে হাফিজুর রহমান (৩২) এবং নীলফামারী সদর উপজেলার দরবেশপাড়া গ্রামের মতিয়ার রহমানের মেয়ে রুনা আক্তার (৩৫)। এর মধ্যে শাকিল হোসেনকে ৩ মাস, আতাউর রহমানকে ১ মাস, জেসমিন বেগমকে ১৫ দিন এবং মোছাঃ জেসমিনকে ১৫ দিনের কারাদন্ড প্রদান করা হয়েছে। এছাড়া হাফিজুর রহমানকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা এবং রুনা আক্তারকে বন্ড পেপারে মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৪ আগস্ট) দুপুরে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে আটককৃতদের এ শাস্তি দেন, জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দেওয়ান আসিফ পেলে।
তিনি জানান, রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (অপরাধ) উৎপল কুমার রায়ের নেতৃত্বে ডিবি ও ধাপ পুলিশ ফাঁড়ির সদস্যদের নিয়ে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দালার বিরোধী অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় হাসপাতাল গেট, জরুরী বিভাগসহ বিভিন্ন বিভাগ থেকে ৬ জনকে আটক করা হয়।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দেওয়ান আসিফ পেলে বলেন, রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দালাল চক্রকে উৎখাত করতে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করা হয়েছে। এখানে এসে দালাল চক্রের বিষয়ে আমরা সত্যতা পাই এবং ৬ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে শাস্তি দেওয়া হয়েছে। আমাদের এ ধরনের অভিযান অব্যহত থাকবে।
অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (অপরাধ) উৎপল কুমার রায় বলেন, রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্বাস্থ্যসেবাকে নির্বিঘ্ন করতে আমরা বদ্ধ পরিকর। হাসপাতালে আগত রোগীরা যেন প্রতারিত না হয়, দালালদের কারণে সর্বশান্ত না হয় এজন্য আমাদের দালাল বিরোধী অভিযান ও নজরদারী অব্যহত রেখেছি।