মশার উপদ্রবে অতিষ্ঠ রংপুরবাসী
কয়েল জালিয়ে ঝুঁকি নিয়ে কাপড়ের দোকানে চলছে ব্যবসা
নিউজডোর ডেস্ক ♦ মশার যন্ত্রণায় অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে রংপুবাসী। দিন-রাত মশার উপদ্রব। কয়েল জালিয়েও মিলছে না নিস্তার। বাড়ি-ঘর অফিস, আদালত, ব্যাংক, বীমা, দোকানপাট, স্টেশন, বাস টার্মিনাল এমনকি মসজিদ-মাদরাসাতেও মশার উপদ্রব বেড়েছে অস্বাভাবিক হারে। মসজিদে পাঁচ ওয়াক্তের নামাজসহ তারাবীর সময় কয়েল না জালিয়ে নামাজ আদায় করা অসম্ভব হয়ে পড়েছে। মশার যন্ত্রণা থেকে বাঁচতে বাড়ি ঘরে দিনের বেলাতেও মশারী লাগানো হয় এবং অফিস আদালতে কয়েল জালিয়ে কার্যক্রম চালানো হয়। রক্তচোষা মশার কারণে ম্যালেরিয়া, ডেঙ্গু, ইনফ্লুয়েঞ্জাসহ মশাবাহিত বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন রংপুরবাসী।
রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউ বিভাগের দায়িত্বরত রেজিস্ট্রার ডা. জামাল উদ্দিন মিন্টু বলেন, মশার কামড়ে বিভিন্ন ভয়াবহ রোগ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। যার কারণে মশার কামড় থেকে নিজেকে রক্ষা করার জন্য সকলকে সজাগ থাকতে হবে। অনুসন্ধানে জানা যায়, ময়লা-আবর্জনা, স্তুপ, পঁচা পানি, ঝোপ-ঝাড় জঙ্গলে, অপরিকল্পিত ড্রেন-নালা-নর্দমাতে মশার বংশ বিস্তার হয়। তবে রংপুর নগরীর ভিতর দিয়ে বয়ে যাওয়া শতাধিক বছরের ঐতিহ্যবাহী শ্যামা সুন্দরী খালের সংস্কার না হওয়ার কারণে রংপুর নগরীর এ অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে।
শালবন এলাকার শাকিল আহমেদ বলেন, ইদের বাজারে কাপড়ের ব্যবসা নিয়ে বসলেও মশার যন্ত্রণায় অতিষ্ট হয়ে কয়েল জালিয়ে ঝুঁকি নিয়ে ব্যবসা করতে হচ্ছে।
রিকশা চালক শাহজাদা সেলিম বলেন, যাত্রীর জন্য অপেক্ষা করলেও মশার যন্ত্রণায় এক জায়গায় অপেক্ষা করতে পারছি না। দিনের বেলা মশার যন্ত্রণা কম থাকলেও ইফতারের সময় থেকে এর উপদ্রব অস্বাভাবিক হারে বেড়ে যায়।
এ ব্যাপারে রংপুর সিটি কর্পোরেশনের (রসিক) মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা এ অবস্থার জন্য শ্যামাসুন্দরী খালের সংস্কারের উদ্যেগের কথা উল্লেখ করে বলেন, নগরীর ৩৩ ওয়ার্ডে মশক নিধন কার্যক্রম চলছে