কলেজ অধ্যক্ষ কর্তৃক এমপি-শিক্ষকদের বিরুদ্ধে মিথ্যাচারের অভিযোগ
স্টাফ রিপোর্টার ♦ দূর্নীতির কারণে নিজ পদ জাতীয়করণ না হওয়ায় স্থানীয় সংসদ সদস্য ও শিক্ষকদের বিরুদ্ধে মিথ্যাচারের অভিযোগ উঠেছে রংপুর বদরগঞ্জ সরকারী কলেজের অধ্যক্ষ মুহাম্মদ মাজেদ আলী খানের’র বিরুদ্ধে। বুধবার দুপুরে বদরগঞ্জের একটি কমিউনিটি সেন্টার মিলনায়তনে শিক্ষকদের পক্ষে কলেজের মার্কেটিং বিভাগের প্রভাষক মোঃ ফরিদুল ইসলাম সংবাদ সম্মেলনে জানান, চলতি বছরের ৬ জুন কলেজের প্যাডে অধ্যক্ষ মুহাম্মদ মাজেদ আলী খান প্রধানমন্ত্রী বরাবরে অভিযোগ করেন, স্থানীয় সংসদ সদস্য আবুল কালাম মোঃ আহসানুল হক চৌধুরী ডিউক কলেজ সরকারীকরণের জন্য জামাত-শিবির পরিবারের সদস্য, ভূয়া সনদধারীদের শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দিয়ে দেড় কোটি টাকা কলেজের সহযোগি অধ্যাপক সুনীল চন্দ্র রায়ের মাধ্যমে ঘুষ নিয়েছেন। যা মিথ্যা ও ভিত্তিহীন অভিযোগ। কলেজের গরীব শিক্ষকদের পক্ষে এত টাকা দেওয়া অসম্ভব। তিনি বলেন, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বোর্ড অধ্যক্ষের দূর্নীতি নিয়ে গত ২০২০ সালের ২১ সেপ্টেম্বর একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেন। সেই তদন্ত কমিটি অধ্যক্ষ মুহাম্মদ মাজেদ আলী খানের বিরুদ্ধে ১০টি অভিযোগের মধ্যে ৯টি অভিযোগের সত্যতার প্রমান পান। এর প্রেক্ষিতে গত ২০২১ সালের ৩১ মে অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে শাস্তির সিদ্ধান্তের জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে প্রতিবেদন পাঠায় তদন্ত কমিটি। শিক্ষা মন্ত্রণালয় সেই প্রতিবেদনকে আমলে নিয়ে ২০২২ সালের ১৮ এপ্রিল শাস্তির সিদ্ধান্ত দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারী করে। এদিকে দূর্নীতি দমন কমিশন রংপুর আঞ্চলিক শাখা অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে ২০২২ সালের ৭ এপ্রিল মামলা দায়ের করে। জাতীয়করণে বদরগঞ্জ সরকারী কলেজে অন্যান্য শিক্ষকদের পদ সৃজন হলেও দূর্নীতির প্রমান পাওয়ায় অধ্যক্ষ পদ সৃজন প্রক্রিয়া থেকে বাদ পড়ে যান। এ ঘটনার পর থেকে অধ্যক্ষ কলেজের সরকারীকরণে নানা বাধাসৃষ্টির চেষ্টা চালায়।
তিনি আরও বলেন, আমাদের কলেজের কোন শিক্ষক জামায়াত-শিবির পরিবারের সদস্য না। এছাড়া কেউ ভুয়া সনদধারী নন। ২০২২ সালে সরকারীকৃত কলেজে চাকুরীরত এনটিআরসিএ বিহীন শিক্ষকদের কথা বিবেচনা করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাদের পদ সৃজনের নির্দেশ দিয়েছেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, মনোবিজ্ঞানের শিক্ষক রেজওয়ানুল হক, রাষ্ট্রবিজ্ঞানের প্রভাষক শামীমা আফরিন, বাংলা বিভাগের প্রভাষক শামীম আল মামুন, নিরঞ্জন কুমার রায়, রাশেদা খাতুন, ইসলাম শিক্ষা বিভাগের প্রভাষক শাকিরুল ইসলাম, রসায়ন বিভাগের প্রভাষক আমিনুর হোসেনসহ অন্যরা।
এ ব্যাপারে বদরগঞ্জ সরকারী কলেজের অধ্যক্ষ মুহাম্মদ মাজেদ আলী খানের সাথে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।