নিঁখোজ রংপুরের শিল্পপতি করিম উদ্দিন ভরসা
সম্পত্তির জন্যই তাকে লুকিয়ে রাখা হয়েছে এমন অভিযোগে আদালতে ভাইয়ের বিরুদ্ধে ভাইয়ের মামলা
স্টাফ রিপোর্টার ♦ আবারও আলোচনায় রংপুরের শিল্পপতি সাবেক সাংসদ করিম উদ্দিন ভরসা। তিনি নিঁখোজ। গুঞ্জন রয়েছে তাকে, লুকিয়ে রাখা হয়েছে। এর পেছনে আর কেউ নন তারই সন্তান। এর নেপথ্যে কারণ ধন-সম্পদ। এ সম্পত্তির জন্যই তাকে লুকিয়ে রাখা হয়েছে এমন অভিযোগে আদালতে মামলা করেছে করিম ভরসার পূত্ররা ভাই ভাইয়ের বিরুদ্ধে। উচ্চ আদালতে করিম ভরসাকে হাজির করার আদেশ দেওয়া হলেও তা মানা হয়নি। ফলে রহস্য আরও ঘনীভূত হচ্ছে। জাতীয়পার্টির সাবেক সাংসদ শিল্পপতি করিম ভরসা (৮৭) ফিরে পেতে তার সন্তানেরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।
সূত্রমতে জানা যায়, করিম ভরসাকে বেআইনিভাবে আটকে রেখেছে তার পূত্র সাইফুল ওরফে শিমুল ভরসা। এমন অভিযোগে গত ১৭ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্টে হেবিয়াস করপাস অভিযোগ করেন করিম ভরসার আরেক পূত্র শফিকুল ভরসা ও কামরুল ভরসা। ওই রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে গত ২০ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্টে একটি বেঞ্চ রুলসহ আদেশ দেওয়া হয়।
আদেশে সাইফুল ওরফে শিমুল ভরসার হেফাজতে করিম ভরসাকে আইনগত কর্তৃত্ব বহির্ভূতভাবে আটকে রাখা হয়নি, তা নিশ্চিতে আদালতের সামনে করিম ভরসাকে হাজির করতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না তা জানতে চাওয়া হয়। আদেশে ৬ মার্চ করিম ভরসাকে স্বশরীরে হাইকোর্টে হাজির করার নির্দেশ দেওয়া হয়।
ওই আদেশের বিরুদ্ধে ৩রা মার্চ আপিল আবেদন করলে সুপ্রীম কোর্ট ৬ সপ্তাহের জন্য ওই আদেশ স্থগিত করেন। ওই স্থগিতাদেশের বিরুদ্ধে শফিকুল ভরসাসহ ৯ সন্তান ফের আবেদন করলে করিম ভরসাকে হাজির করে এক সপ্তাহ পরপর প্রতি শনিবার অপর ছেলে-মেয়েদের দেখার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য রংপুরের জজ আদালতকে নির্দেশ দেন সুপ্রীম কোর্ট। সে অনুযায়ী ২ এপ্রিল করিম ভরসাকে রংপুর জজ আদালতে হাজির করার কথা থাকলে সেদিন হাজির করা হয়নি। তখন রংপুর জজ আদালত আবার ১৬ এপ্রিল হাজির করার দিন ধার্য করেন। কিন্তু ওই তারিখেও হাজির করা হয়নি। তার অন্য সন্তানেরা জানান, সম্পত্তির লোভে তার দুইভাই তাদের বাবাকে কৌশলে লুকিয়ে রেখেছে।
করিম ভরসার দ্বিতীয় পূত্র এফবিসিসিআইয়ের পরিচালক শফিকুল ভরসা জানান, আমার দুইভাই সিরাজুল ভরসা ও সাইফুল ওরফে শিমুল ভরসা সম্পত্তি হাতিয়ে নিতে বাবাকে লুকিয়ে রেখেছে। আমরা বাধ্য হয়ে আইনকে শ্রদ্ধা জানিয়ে সুপ্রীমকোর্ট, হাইকোর্ট হয়ে জজকোর্টের কাছে যেতে হয়েছে। জজকোর্ট আদেশ দেওয়া স্বত্তে¡ও আদালতে হাজির করেনি। উনার এখন বয়স হয়েছে। কেমন আছে, কি অবস্থায় আছে তা আমরা জানতে পারছি না।
করিম ভরসার সপ্তম ছেলে কামরুল ভরসা বলেন, আমাদের কারখানাগুলোতে হাজার হাজার মানুষ কাজ করত বাবা নিঁখোজের কারণে সব বন্ধ হয়ে পড়েছে।