করোনাকালে রংপুরে কোচিং সেন্টারের রমরমা ব্যবসা
এহসানুল হক সুমন ♦ করোনাকালে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকার সুযোগে রমরমা ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে কোচিং সেন্টারগুলো। সরকারী নির্দেশনাকে উপেক্ষা করে ব্যাচ ভিত্তিক বিভিন্ন ক্লাসের পাঠদান, পরীক্ষা, চাকুরীর পরীক্ষা চালিয়ে যাচ্ছে কোচিং সেন্টার মালিকরা। করোনার দ্বিতীয় ঢেউ শীতে আসতে পারে এমন শংঙ্কার কথাও জানিয়েছে সরকার। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকলেও কোচিং সেন্টারগুলোতে স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছে না। একই বেঞ্চে ৩ থেকে ৪ জন শিক্ষার্থীকে গাদাগাদি করে কোচিং করতে হচ্ছে।
শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে ফেলা অবৈধভাবে চালানো কোচিং সেন্টারগুলোর বিরুদ্ধে মাঠে নেমেছে রংপুরের প্রশাসন। সোমবার বিকেলে নগরীর খামার মোড় এলাকায় ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেন, জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাহমুদ হাসান মৃধা। স্বাস্থ্য বিধি উপেক্ষা করে শিক্ষার্থীদের ব্যাচ করে পড়ানোর দায়ে খামার মোড়ে অবস্থিত নিউরন কোচিং সেন্টার, মেধা সিড়ি কোচিং সেন্টার ও ক্যাম্পাস কোচিং সেন্টারকে ৬০ হাজার টাকা জরিমানা করে ৩টি কোচিং সেন্টারকে সিলগালা করা হয়।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাহমুদ হাসান মৃধা বলেন, করোনা দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবেলায় সরকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখেছে। অপরদিকে কোচিং সেন্টারগুলো এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে রমরমা ব্যবসা করে চলেছে। জেলা প্রশাসকের নির্দেশে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে ৩টি কোচিং সেন্টারকে জরিমানাসহ সিলগালা করা হয়েছে। এ অভিযান অব্যহত থাকবে। ভ্রামমান আদালত পরিচালনার সময় উপস্থিত ছিলেন, র্যাব-১৩ কোম্পানী কমান্ডার হাফিজুর রহমানসহ র্যাবের সদস্যরা।