কুড়িগ্রামে প্রচন্ড শীতের দাপটে জনজীবন বিপর্যস্ত

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি ♦ কুড়িগ্রামে গত তিনদিন ধরে শীতের প্রকোপ ক্রমেই বাড়তে শুরু করেছে। প্রতিদিন সন্ধ্যা হওয়ার পর থেকে ঘন কুয়াশায় ঢেকে পড়ে চারদিক।হিমালয়ের পাদদেশে কুড়িগ্রাম জেলার অবস্থান হওয়ায় শীতের প্রকোপ প্রতিবছর এখানে বেশি দেখা যায়।এবারেও তার কমতি নেই।
গত কয়েকদিন ধরে শীত শুরু হলেও রবিবার সন্ধ্যা থেকে সোমবার দিনভর ঘন কুয়াশায় ঢেকে থাকে এ জনপদ।দুপুর গড়িয়ে গেলেও সুর্যের মুখ দেখা যায়নি।তবে আকাশে দিনভর মেঘেও ঢাকা ছিল।রাস্তাঘাট অনেকটা ফঁাকা থাকে শীতের প্রচন্ড ঠান্ডার কারনে।
দুরপাল্লার যানবাহনগুলো ও অটোরিক্সাসহ বিভিন্ন যানবাহন হেড লাইট জ্বালিয়ে রাস্তায় চলাচল করতে দেখা যায়।যাত্রী সংকটে পড়েন এখানকার রিক্সা ও অটোরিক্সার চালকগণ।অনেকেই শীত নিবারণে খরকুটো জ্বালিয়ে একসাথে বসে আগুন পোহাতে দেখা যায়।শহরের বাসস্ট্যান্ড এলাকায় অটোচালক রঞ্জু মিয়া জানান,যাত্রী না থাকায় রাস্তার পাশে অটো রেখে আগুন জ্বালিয়ে তাপ নিচ্ছি।এদিকে,অতিরিক্ত কুয়াশা ও ঠান্ডার কারনে মানুষজন ঘর থেকে বের হতে ভয় পান।বাধ্য হয়ে অনেকেই কুয়াশা ও ঠান্ডায় কাজ করতে বের হন।
গত দুদিন ধরে দিনভর সুর্যের আলো দেখা না যাওয়ায় ঠান্ডার তীব্রতা অনেকটা বেড়েছে ।শাপলা চত্বরে ব্যটারিচালিত রিক্সা চালক হেমায়েত উল্ল্যাহ জানান,সকাল ৭টায় প্রতিদিন আসি।আজও আসছি।ডেইলি ঢাকার নাইট কোচের যাত্রীরা শুলকুর বাজার,কচাকাটা,ঘোগাদহ ও ভেতরবন্দে রিক্সাত করি নিয়ে যাই।ঠান্ডার কারনে যাত্রী অনেক কম ও নাইটকোচও দেরিতে আসে।
এদিকে,সোমবার ভোরের দিকে ঝিরঝির করে পড়ে ঘন কুয়াশার ফোঁটা।বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তা কিছুটা কমলেও দুপুর গড়িয়েও সুর্যের মুখ দেখা যায়নি।ফলে উত্তাপ নেই বলেই চলে। ক্রমান্বয়ে নিচের দিকে নামছে তাপমাত্রার।তাই বিপর্যস্ত হয়ে পড়ছে জনজীবন।জেনারেল হাসপাতালসহ উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সসমুহে শীতজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে প্রতিদিন ভর্তি হচ্ছেন বয়স্ক ও শিশুরা।সোমবার সকাল নয়টায় স্থানীয় আবহাওয়া অফিস জানায়,গত ২৪ ঘন্টায় জেলার তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৪দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তবে এ তাপমাত্রা ধীরে ধীরে কমতে থাকবে বলে জানানো হয়।