খুলছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, রংপুরে শিক্ষার্থীদের মাঝে উৎসবের আমেজ
আবার প্রাণ ফিরে পাচ্ছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো
স্টাফ রিপোর্টার ♦ প্রায় ১৮ মাস পর খুলছে শ্রেণি কক্ষের দ্বার। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার ঘোষণার পর শিক্ষার্থীদের আগমন নিয়ে ব্যস্ততা বেড়েছে শিক্ষক, প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের। ধুলোবালি, মাকড়ার জাল ঝেড়ে, ধুয়ে-মুছে পরিস্কার করেছেন তারা। শিক্ষকরা দফায় দফায় সভা করে প্রতিটি ক্লাসকে কয়েকটি ভাগে বিভক্ত করাসহ শারীরিক দুরুত্ব নিশ্চিত করে পাঠদানের ব্যবস্থা করেছেন। রংপুর প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, এ বিভাগের পঞ্চগড়, ঠাকুরগাঁও, দিনাজপুর, নীলফামারী, কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট, রংপুর ও গাইবান্ধা জেলায় ৯ হাজার ৫৪৭টি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ২ হাজার ৯৬৮ টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও ৫৫৬টি উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় রয়েছে। এর মধ্যে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ১৯ লাখ, মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ১৪ লাখ ও উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে প্রায় ১ লাখ শিক্ষার্থী রয়েছে। এসব শিক্ষার্থীদের ঝরে পড়া রোধে শিক্ষা বিভাগের কর্মকর্তারা শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের সাথে যোগাযোগ স্থাপনের জন্য স্কুল কর্তৃপক্ষকে তাগিদ দিয়েছেন। সেই সাথে সরকারী নির্দেশনা প্রতিপালন করাসহ স্বাস্থ্যবিধি মেনে পাঠদানের উপর কড়া নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। শিক্ষা বিভাগের কর্তা ব্যক্তিরা নিয়মিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করছেন।
রংপুর জিলা স্কুলের প্রধান শিক্ষক এমআর মিজানুর রহমান বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠদান দিতে আমরা প্রস্তুত রয়েছি। শিক্ষার্থীরা র্দীঘদিন পর তাদের প্রিয় প্রাঙ্গনে ফিরতে মুখিয়ে রয়েছে। শনিবার অনেক শিক্ষার্থী এসে তাদের ক্লাস সম্পর্কে তথ্য নিয়ে গেছে। দীর্ঘদিন পর যেহেতু শিক্ষার্থীরা প্রতিষ্ঠানে আসছে, তারা বন্ধুদের দেখে আবেগে আপ্লুত হয়ে স্বাস্থ্যবিধি ভঙ্গ করতে পারে। এজন্য আমরা মনিটরিং কমিটি গঠন করেছি। তারা বিষয়টি দেখভাল করবে। প্রতিষ্ঠানের মূল ফটকে তাপমাত্রা পরিমাপ, শিক্ষার্থীদের হাত ধোয়া ও মাস্ক ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এছাড়া যেহেতু নিয়মিত বৃষ্টি হচ্ছে তাই পানি জমে যেন এডিস মশার জন্ম না নেয় সেলক্ষ্যে আমরা ঝোপঝাড় পরিস্কার করা এবং খোলাপাত্রের পানি অপসারণ করেছি।
মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা রংপুর অঞ্চলের পরিচালক এসএম আব্দুল মতিন লস্কর বলেন, রংপুর বিভাগের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সরকারী নির্দেশনা প্রতিপালনে আমরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধানদের কড়া নিদের্শনা দিয়েছি। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার পর প্রতিদিন শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি আমরা মন্ত্রণালয়ে পাঠাবো।