গঙ্গাচড়ায় বিজয় টিভির সাংবাদিকসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির মামলা
স্টাফ রিপোর্টার ♦ হলুদ সাংবাদিকতার ঘটনাকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের সংঘর্ষে ১২ জন আহত হয়েছে। সংঘর্ষে গুরুতর আহত মিজানুর রহমান (৩৪) নামে এক যুবক রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৫ দিন ধরে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে। এ ঘটনায় সাংবাদিকসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার লহ্মিটারী ইউনিয়নের ইচলী গ্রামের এসকেএস বাজার এলাকায়।
থানা পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী জানান, বৃহস্পতিবার (১৪ জানুয়ারী) সন্ধ্যায় ওই গ্রামের মৃত বাচ্চা কাপড়িয়ার ছেলে দুলাল মিয়ার (৪৪) সাথে বিজয় টিভির রংপুর বিভাগীয় প্রতিনিধি হামিদুর রহমান ও ক্যামেরাম্যান একই গ্রামের মৃত খয়ের উদ্দিনের ছেলে আব্দুল কাদেরের (৬০) বাড়ীতে আসেন। ওই সাংবাদিক আব্দুল কাদেরকে বলেন যে, খাস জমিতে তার পাকা বাড়ী নির্মাণের সংবাদটি টিভিতে প্রচার করলে সরকার তার বাড়ী ভেঙ্গে দেবে। তাই ওই সাংবাদিক আব্দুল কাদেরের কাছে ২০ হাজার টাকা উৎকোচ দাবী করেন। অন্যথায় তার বিরূদ্ধে সংবাদ প্রকাশের হুমকি দিয়ে সাংবাদিক ক্যামেরাম্যানসহ চলে যান। আব্দুল কাদের আরো জানান, পূর্ব শত্রæতার প্রতিশোধ নিতে দুলাল ওই সাংবাদিককে ডেকে এনে তার আর্থিক ক্ষতি করতে চেয়েছিল।
পরদিন শুক্রবার বিকেলে এসকেএস বাজারে দুলাল মিয়ার দেখা হলে আব্দুল কাদেরের ভাতিজা মিজানুর রহমান (৩৪) সাংবাদিককে অভিযোগ করার কারণ জানতে চায়। এতে উভয়ের মাঝে কথা কাটাকাটি হয়। এ ঘটনায় দুলালের স্বজনরা দ্রæত লাঠি-ছোড়া নিয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে উভয় পক্ষের মাঝে সংঘর্ষ বাধে। এতে মিজানুর রহমান (৩৪), জোলেখা বেগম (২৫), সাজু মিয়া, আবু সিদ্দিক, বিপ্লব, মনোয়ার, সামিনা বেগম এবং অপর পক্ষের দুলাল, বিউটি, চাঁদনী, মিষ্টি, আপন মিয়া আহত হয়। মাথায় আঘাতপ্রাপ্ত গুরুতর আহত মিজানুর ও তার স্ত্রী জুলেখা রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ও অপর পক্ষের আহতরা গঙ্গাচড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
এ ঘটনায় আব্দুল কাদের বাদী হয়ে গত ১৮ জানুয়ারী প্রতিপক্ষের ৯ জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করেন।
অভিযুক্ত দুলাল মিয়া জানান, তিনি সাংবাদিককে ডেকে আনেন নি। সাংবাদিক নিজেই এসেছিল।
গঙ্গাচড়া থানার ওসি (তদন্ত) নুর আলম জানান, আব্দুল কাদের বাদী হয়ে মামলা করেছেন। আসামীদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।