বিট পুলিশিং সেবা দুয়ারে দুয়ারে পৌঁছে দিচ্ছেন এসপি বিপ্লব
গঙ্গাচড়া (রংপুর) প্রতিনিধি ♦ রংপুর পুলিশ সুপার বিপ্লব কুমার সরকার বিপিএম (বার) পিপিএম, জনসাধারণের উদ্দেশ্যে বলেছেন, আমার কাছে আপনার আসার প্রয়োজন নেই, আমি আপনার কাছে আসছি। আপনার সমস্যা কী বলুন আমরা সমাধান করব। এই স্লোগানে পুলিশি সেবাকে প্রান্তিক পর্যায়ে পৌঁছে দিতে জেলা পুলিশ নিরলস ভাবে কাজ করছে । যার সুফল ইতিমধ্যেই রংপুর জেলার বাসিন্দারা ভোগ করছে। তিনি বৃহস্পতিবার গংগাচড়া মডেল থানায় অনুষ্ঠিত মাসিক অপরাধ ও আইন শৃংখলা পর্যালোচনা সভায় এসব কথা বলেন।
গংগাচড়া মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ, সুশান্ত কুমার সরকার এর সভাপতিত্বে সভায় তিনি আরো বলেন, সেবা প্রত্যাশীরা যাতে সপ্তাহের প্রতিদিনই ঘরে বসে সেবা পান, এজন্য 'বিট পুলিশিং' কার্যক্রম বাড়িয়ে একজন পুলিশ কর্মকর্তা (এসআই বা এএসআই) প্রতিটি ইউনিয়ন পরিষদে গিয়ে বসছেন। তার উপস্থিতিতে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, গণমান্য ব্যক্তিরা তাৎক্ষণিক বসে অনেক সমস্যার সমাধান করেছেন। ফলে ছোটখাটো দ্ব›দ্ব-সমস্যায় সাধারণ মানুষকে অভিযোগ নিয়ে থানায় আসতে হচ্ছে না। প্রতিদিন বিট অফিসাররা তদারকির জন্য বিট অফিসে যাওয়ায় মাদক, জুয়া খেলা বন্ধসহ বিভিন্ন অপরাধ কমেছে। পাশাপাশি পুলিশের প্রতি বাড়ছে মানুষের আস্থা।
সভায় তিনি গঙ্গাচড়া থানার পুলিশ সদস্যদের উদ্দেশ্যে বলেন, এলাকার সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ, মাদক উদ্ধার, জুয়া-চোরাচালান, বাল্যবিবাহ, ইভটিজিং প্রতিরোধ, আসামি গ্রেপ্তার, গ্রেফতারি পরোয়ানা তামিলসহ থানায় আগত সেবা ভোগীদের সেবা প্রদান নিশ্চিত করার নির্দেশ দিয়ে বলেন দুর্নীতি, সন্ত্রাস, মাদক, ধর্ষণ, নারী নির্যাতন, চুরি-ডাকাতি ও ছিনতাই রোধে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে যাচ্ছেন। তাই মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দৃঢ় ও নিরলস প্রচেষ্টায় আমরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পেরেছি।
এ জেলার মানুষকে নিরাপদ রাখা, মাদক-সন্ত্রাস নির্মূল ও আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে আরো আন্তরিকভাবে কাজ করার নির্দেশ দিয়ে তিনি বলেন বিট পুলিশিং সেবা ‘ঘরে পৌঁছে দেওয়াসহ বিট পুলিশিং জোরদারের পর জেলার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অনেক ভালো হয়েছে। কোথাও বড় ধরনের সমস্যা নেই। ট্র্যাডিশনাল যেসব অপরাধ, যেমন- জমিজমা নিয়ে গ্রামে-গঞ্জে মারামারি, এসব কিছু আছে। তবে কোনো ঘটনার আগে যদি সেখানে পুলিশের হস্তক্ষেপ হয়ে যায়, তাহলে অপরাধ করার আগে মানুষ দুবার ভাবে। তবে নিঃসন্দেহ,প্রান্তিক পর্যায়ে মানুষ যদি বিট পুলিশিং সেবাটা পায়, তাহলে এসব মারামারি হয় না বা প্রতিরোধ করা যায়। সভায় উপস্থিত ছিলেন মধুসূদন রায়, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অপরাধ ) রংপুর, আবু তৈয়ব মোঃ আরিফ হোসেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এ-সার্কেল) রংপুর, শিক্ষানবিস সহকারী পুলিশ সুপার জনাব মোঃ সোহেল রানা, এবং গঙ্গাচড়া থানার পুলিশ পরিদর্শক তদন্ত নুর আলমসহ থানার এসআই ও এএসআই গণ।