রাজনীতির মোয়া খুব টেষ্টি: আসিফ
নিউজডোর বিনোদন ডেস্ক ♦ বাংলাদেশের রাজনীতি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে নিজের ভেরিফাইড পেইজে সঙ্গীত শিল্পী আসিফ আকবর একটি লম্বা স্ট্যাটাস দিয়েছেন।
তিনি লিখেছেন, রাজার ছেলে রাজা হবে, মন্ত্রীর ছেলে মন্ত্রী। এমপির ছেলে এমপি হবে এটাই বাংলাদেশের ক্ষমতায়নের প্রক্রিয়া। ফাঁকে ফাঁকে উঠে আসবে তৃণমূল নামের মূলাক্ষেত। পদ পদবীতে উপাধি সর্বস্ব রাজনৈতিক নেতারা চেঁচিয়ে যান কিছুটা সুবিধা নিয়ে।। রাজনীতির নিষিদ্ধ বটিকা খাওয়া সাধারন মানুষ রাজতিলকধারীদের সফলতা দেখে নিজেকে সবসময় খুব সুখী ভেবে অভ্যস্ত। সেই সুখের ফানুস উড়ে যেতে সময় বেশী লাগেনা। উত্তরাধিকার সূত্রে প্রাপ্ত ক্ষমতা প্রতিপত্তির ভাগ নিতে জুটে যায় ইয়ার বন্ধু আর সময়ের চাটুকারগুলো। তারা হয়ে যায় সমাজের সেলফি শাহেদ। সাধারন জনতা জাহান্নামে গেলেও কোন ভ্রুক্ষেপ থাকেনা সেই রাজতিলকধারীদের। একজনের পর আরেকজন আসে সীমাহীন আনুগত্য নিয়ে, শূন্য স্থান পূরন হয়ে যায়। দুনিয়ার আফসোস নিয়ে মরে যায় সাধারন জনতা, তবুও নেতার আনুগত্য ছাড়েনা। নেতা মাথায় হাত বুলিয়ে দেয়, তৃণমূল মেনে নেয় জেল জুলুম হুলিয়া। তার পরিবার থাকে উপেক্ষিত, নেতা চোখে এঁটে নেন টিনের চশমা।
আমার রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা থেকেই এসব পর্যবেক্ষন। রাজনীতির মোয়া খুব টেষ্টি। সাধারন মানুষ একটু বড় গোছের নেতার সাথে মিশতে পারলে নিজেকে খুব গূরুত্বপূর্ণ মনে করে। একটা মিথ্যা মিথ্যা খেলার মায়ায় রাজনীতির বলি হয় তৃণমূল। ক্ষমতার পালা বদল হলে আগুন জ্বলে তাদের বাড়ী ঘর ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে। বছরের পর বছর ক্ষমতাসীনদের রোষানলে থেকে আবারও নামে আন্দোলনে। ক্ষমতায় এসে তিলকধারীরা মেতে উঠে পুরনো বিলাসী খেলায়। সাধারন নেতাকর্মী ক্ষমতায় থেকে না থেকে উপভোগ করে আফসোস আর নির্যাতনের নানান রং। তিলকধারীরা নির্বাসনের নামে দেশত্যাগ করে চলে যায় উন্নত দেশে, যেখানে আগেই পাচার করা থাকে নিরাপত্তার চাবি।
আমি তিলকধারীদের দোষ দেইনা, তারা নীল রক্তের নাম ভাঙ্গিয়ে রাজ্যপাটকে ভাবে প্রমোদতরী। আবার সাধারন মানুষকেও কখনো সরল ভাবিনা ভুলেও। সবাই সবার হিসাব বুঝেই সঠিকভাবে ভুল করে। পরবর্তী অ্যাকশনে নিজের কৃতকর্মের জন্য পস্তায়, সঙ্গে ভোগায় পরিবারকে। এ এক অদ্ভূত খেলা। আমিও রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলাম, কাছে থেকে দেখার সৌভাগ্য হয়েছে এই খেলা। এক সাধারন আরেক সাধারনকে রাজপথে ঠেলে দেয় রক্তগরম করা উষ্কানীতে। কোট টাই স্যুটওয়ালারা হাসে সানগ্লাসের ফাঁকে। আসলে এ দেশে সাধারনের কষ্টের জন্য সাধারন মানুষরা দায়ী বলেই তাদের কষ্টগুলোর ধারাবাহিকতা খুবই অসাধারন এবং যথাযথ। দেশপ্রেমের রাজনীতি নেই বলেই জনগন নামের শক্তিটা হয়ে গেছে উলুখাগড়া। হারিয়ে ফেলেছে নিজের একটি ভোটের মৌলিক অধিকার। সাবাশ বাংলাদেশ, পৃথিবী আর অবাক হয়না এখন, পাগল হয়ে গেছে।