রংপুরে অর্ধশত নারী সরকারি চাকরিতে উচ্চপদ অলঙ্কৃত করছেন
নিউজডোর ডেস্ক ♦ আজ ৮ই মার্চ আর্ন্তজাতিক নারী দিবস। দিবসটি এলেই নারী-পুরুষের বৈষম্যের কথা উঠে। কিন্তু বৈষম্যের বেড়াজাল ছিন্ন করে এগিয়ে যাচ্ছে নারীরা। রংপুর বিভাগে অর্ধশত নারী স্থানীয় প্রশাসনের উচ্চপদস্থ পদ অলঙ্কৃত করে জনগণকে সেবা দিয়ে আসছেন। এর মধ্যে একজন রয়েছেন জেলা প্রশাসক, ১০ এর অধিক রয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকতা, ৩০ জনের মত রয়েছেন এডিসি, এসিল্যান্ডসহ বিভিন্ন উচ্চপদে। নারী হয়েও কর্মক্ষেত্রে তারা স্বমহিমায় বিচরণ করছেন।
বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয় সূত্রে জানাগেছে, বিভাগের একমাত্র জেলা প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন পঞ্চগড়ের জেলা প্রশাসক ড. সাবিনা ইয়াসমিন। এছাড়া বিভাগের ৮ জেলায় বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করছেন কমপক্ষে অর্ধশত নারী কর্মকতা। স্থানীয় প্রশাসনের দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি তাদের অনেকেই জনগণের কাছাকাছি এসে সুনাম কুড়িয়েছেন। রংপুরে এডিসি (রেভিনিউ) ও এডিসি দুজনেই নারী।
বিশিষ্টজনরা বলেন, এই অঞ্চলে ১০ বছর আগেও জেলা প্রশাসক পদে কোন নারীকে দেখা যায়নি। এছাড়া নির্বাহীকর্মকর্তাসহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ পদে হাতে গােনা দুএকজনকে দেখা গেলেও এখন অবস্থা পাল্টিয়েছে। সর্বক্ষেত্রে নারী পুরুষের সমঅধিকার রক্ষার চেষ্টা চলায় নারীও পুরুষদের চেয়ে পিছিয়ে নেই। স্থানীয় প্রশাসন ছাড়াও পুলিশ, র্যাবসহ অন্যান্য সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোতেও নারীরা যোগ্যতার সাথে দায়িত্বপালন করছেন।
আন্তর্জাতিক নারী দিবস প্রসঙ্গে অনুভূতি কি এমন প্রশ্নের জবাবে রংপুরের কাউনিয়া উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মোছা. উলফৎ আরা বেগম জানালেন, আমি লালমনিরহাট জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার তুষভান্ডর ইউনিয়নের ছোট একটি গ্রামে বড় হয়েছি। বাবা একজন হোমিও চিকিৎসক। সেসময় মেয়েদের এলাকার বাইরে গিয়ে লেখাপড়া করার বিষয়টি মানুষ নেত্রীবাচক ভাবে দেখত। ২০০৩ সালে আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হই তখন আমার গ্রামের অনেকেই মনে করতো মেয়েকে বাইরে লেখাপড়া করাতে পাঠালে ভাল ঘরে বিয়ে দেয়া যাবেনা। বাবার অর্থিক সামর্থ্য না থাকা স্বত্বেও আমি লেখা পড়া করে একটি উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছি। এটা আমার ও আমার পরিবারের জন্যে গর্বের ব্যাপার। এ ক্ষেত্রে আমি সফল ।
বিভাগীয় কমিশনার আবদুল ওয়াহান ভূঞা বলেন, রংপুর বিভাগে অর্ধশতের বেশি নারী কর্মকর্তা নিজ নিজ অবস্থানে থেকে দায়িত্বশীলতার সাথে কাজ করে যাচ্ছেন ।