রংপুরে পুলিশের বিরুদ্ধে ট্রাক শ্রমিকদের আন্দোলন
স্টাফ রিপোর্টার ♦ পুলিশের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি ও ট্রাক চালককে মারধর করার অভিযোগ এনে রংপুরে মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে ট্রাক-ট্যাংকলরি শ্রমিকরা। সোমবার সকাল ১০টা থেকে দুপুরে ২টা পর্যন্ত রংপুর-দিনাজপুর মহাসড়ক অবরোধ করে শ্রমিকরা অভিযোগ করেন, রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের বিভিন্ন থানায় কর্মরত পুলিশ সদস্যরা চেকপোস্ট বসিয়ে ট্রাক-ট্যাংকলরি শ্রমিকদের কাগজপত্র দেখার নামে হয়রানি, চাঁদাবাজিসহ মারধর করে আসছে।
সোমবার সকালে নগরীর ভুরারঘাট থেকে বালু নিয়ে নুরজামাল (৩৫) নামে এক ট্রাক ড্রাইভার নগরীর দর্শনা মোড়ে আসলে চেকপোস্টে পুলিশ থামায়। এ সময় কাগজপত্র দেখার নামে পুলিশ চাঁদাদাবীসহ ওই চালককে লাঞ্ছিত করে বলে অভিযোগ করেন শ্রমিকরা। পরে ট্রাক-ট্যাংকলরি শ্রমিক নেতারা দর্শনা মোড়ে ছুটে আসলে গাড়ির রং নস্ট অভিযোগ এনে মামলা দেয় পুলিশ। এ ঘটনায় বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা ট্রাক স্ট্যান্ডের সামনে রাস্তার দু’ধারে গাড়ি দিয়ে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করে। এ সময় রাস্তার দু’ধারে কয়েক কিলোমিটার জুড়ে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। খবর পেয়ে সহকারী পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) ফরহাদ ইমরুল কায়েস, কোতয়ালী থানার ওসি আব্দুর রশিদসহ পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চালায়। পরে শ্রমিক নেতাদের সাথে পুলিশের ফলপ্রসূ আলোচনার ভিত্তিতে সড়ক অবরোধ তুলে নেয় শ্রমিকরা।
রংপুর জেলা ট্রাক-ট্যাংকলরি ও কাভার্ড ভ্যান শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম মানিক বলেন, বিভিন্ন থানার পুলিশ সদস্যরা চেকপোস্ট বসিয়ে ট্রাক শ্রমিকদের হয়রানিসহ চাঁদাবাজি করে চলেছে। যারা লোকাল রুটে ট্রাক চালায় তাদের আয় খুবই সামান্য। অথচ সেই সব শ্রমিকদের গাড়ির কাগজপত্র দেখার নামে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে পুলিশ। এতে করে শ্রমিকরা পথে বসার উপক্রম হয়েছে। আমাদের দাবী কাগজপত্র দেখার নামে হয়রানি বন্ধসহ ট্রাফিক বিভাগের পুলিশ সদস্যদের মাধ্যমে যেন কাগজপত্র নিরীক্ষা করা হয়।
মেট্রোপলিটন পুলিশের সহকারী পুলিশ কমিশনার ফরহাদ ইমরুল কায়েস বলেন, নতুন আইন অনুযায়ী বৈধ কাগজপত্র না থাকলে ডিজিটাল মেশিন দিয়ে সংশ্লিষ্ট পরিবহনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়। এখানে চাঁদাবাজির কোন সুযোগ নেই। ট্রাক শ্রমিককে লাঞ্ছিত করার অভিযোগের প্রেক্ষিতে এটি তদন্ত করা হবে। পুলিশ সদস্য দোষী হলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।