রংপুরে মিথ্যা বলাৎকারের মামলা দায়ের করে হয়রানির অভিযোগ
স্টাফ রিপোর্টার ♦ রংপুরে জমি-জমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করতে মিথ্যা বলাৎকারের মামলা দায়ের করে হয়রানির অভিযোগ উঠেছে। ভ‚ক্তভোগীর অভিযোগ, মিথ্যা মামলা দায়েরসহ ফাঁদে ফেলে বাদি হাতিয়ে নিয়েছে দুই লক্ষাধিক টাকা।
ভুক্তভোগী ও মামলা সূত্রে জানা যায়, গত সেপ্টেম্বর মাসে গঙ্গাচড়া উপজেলার সিট ঠাকুরদহ গ্রামের বাসিন্দা বাবলু মিয়া তার পার্শ্ববর্তী বাদশা মিয়ার নবম শ্রেণিতে পড়–য়া ছেলে ইমরানের নামে মামলা দায়ের করে। এজাহারে উল্লেখ করা হয়, সকাল ১০টার সময় বাবলু মিয়ার নাতি শিশু সাব্বির হোসেন (৬) কেরু মিয়ার জমিতে খেলছিলো। ওই দিন পৌনে ১১টার সময় সেখান থেকে প্রতিপক্ষ বাদশা মিয়ার ছেলে ইমরান (১৬) তার নাতিেেক ডেকে নিয়ে তার দাদী সাহেবজান (৬০) এর বসতবাড়িতে জোর পূর্বক ধর্ষণ করে। এ সময় নাতি সাব্বির হোসেন কান্নাকাটি শুরু করলে ইমরান পালিয়ে যায়।
এজাহারে বাদি বলেছেন, ভিকটিম সাব্বির কেরু মিয়ার জমিতে খেলতেছিল সেখান থেকে তাকে ইমরান ডেকে নিয়ে গেছে। আর ভিকটিম সাব্বির তার ২২ ধারার জবানবন্দিতে বলেছেন, ঘটনার দিন ও সময়ে ইমরানসহ অনেক ছেলে ক্যারাম খেলছিল, আমি ক্যারাম খেলা দেখতে গেলে ইমরান আমাকে ডেকে নিয়ে গেছে। এজাহার ও ভিকটিমের জবানবন্দি মিল না থাকায় এলাকাবাসির মধ্যে দেখা দিয়েছে নানান প্রশ্নের। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকাবাসি ও মিথ্যা মামলার শিকার ভূক্তভুগি বাদশা মিয়ার পরিবারের মধ্যে সৃষ্টি হয়েছে চাপা ক্ষোভ।
সিট ঠাকুরাদহ গ্রামের এলাকাবাসী বলেন, বাদি বাবুল মিয়া ও প্রতিপক্ষ বাদশা মিয়ার সাথে দীর্ঘদিন ধরে জমিজমা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে বিরোধ। এলাকায় বাদশা মিয়াকে সমভ্রান্ত পরিবারের সন্তান হিসেবে সমাজের সবাই তাকে সম্মান করেন। সমাজে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য বাবুল মিয়া মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করছেন।
বাদশা মিয়া সাংবাদিকদের বলেন, আমি ঘটনার পরের দিন ২২ সেপ্টেম্বর স্থানীয় পত্রিকায় প্রকাশিত “থানায় অভিযোগ গঙ্গচড়ায় শিশু বলাৎকারের চেষ্টা” শিরোনামের মাধ্যমে জানতে পারি আমার ছেলে ইমরানের বিরুদ্ধে বলাৎকারের মামলা হয়েছে। পুলিশ কিভাবে নারী ও শিশু নির্যাতনের মত স্পর্শ কাতর মামলা তদন্ত ছাড়াই মামলা রুজু করলো। টাকা হলেই কি মিথ্যা মামলা করা যায়। তাহলে আমরা সাধারণ মানুষ কার কাছে গিয়ে ন্যায় বিচার পাবো। আমার ছেলের সুন্দর ভবিষ্যৎ নষ্ট করার জন্য দায়ী কে!
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই নূর মোহাম্মদ আরিফ বলেন, আমি দোষীপত্র আদালতে প্রেরণ করেছি, এজাহার ও ভিকটিমের জবানবন্দি মিল না থাকা ও ঘটনাস্থলে এজাহার নামীয় স্বাক্ষীদের উপস্থিতিতে ঘটনা সংঘঠিত হওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন এসব বিষয়ে আমি কোন মন্তব্য করবো না যা বলার আমি কোর্টে বলবো।
মামলা বাদি বাবুল মিয়ার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করলে তার ফোন বন্ধ থাকায় বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।