লকডাউনের প্রথম দিনে কঠোর অবস্থানে রংপুরের প্রশাসন
এহসানুল হক সুমন ♦ সর্বাত্মক লকডাউনের প্রথম দিনে কঠোর অবস্থানে ছিল রংপুরের প্রশাসন। লকডাউন বাস্তবায়নে দিনভর সচেতনতা কার্যক্রম, চেকপোস্টের মাধ্যমে যানবাহন নিয়ন্ত্রনে কাজ করছে পুলিশ ও জেলা প্রশাসন।
রংপুর জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে তথ্য অফিসের সহযোগিতায় বুধবার দিনভর সরকারী নির্দেশনা প্রচার করা হয়। লকডাউন কার্যকরভাবে বাস্তবায়নে রংপুর নগরীতে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেছে জেলা প্রশাসন। বুধবার দুপুরে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ রায়হানুল ইসলামের নেতৃত্বে নগরীর সিটি বাজার, চেকপোস্টসহ বিভিন্ন খাবারের হোটেলে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে জরুরী প্রয়োজন ছাড়া কাউকে ঘর থেকে বের না হওয়ার আহ্বান জানানো হয়। এতে রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ ও র্যাবের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া জেলার ৮টি উপজেলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, সহকারী কমিশনার (ভূমি) নিজ নিজ এলাকায় লকডাউন বাস্তবায়ন করতে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা ও তদারকির কাজ করেছেন। ওদিকে অ্যাম্বুলেন্সে করে বুধবার ঢাকা থেকে উত্তরের বিভিন্ন জেলায় বাড়ি ফিরেছেন শ্রমজীবিরা।
রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ সূত্রে জানা যায়, রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্রাফিক, অপরাধ ও গোয়েন্দা বিভাগ আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখাসহ লকডাউন কার্যকর করতে মঙ্গলবার রাত থেকে নগরীতে টহলসহ সচেতনতামূলক কার্যক্রম শুরু করেছে। ট্রাফিক বিভাগের দুটি ইউনিট নগরীর গুরুত্বপূর্ণ ১২টি পয়েন্টে চেকপোস্ট বসিয়ে সড়ক-মহাসড়কে যানবাহন নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব পালন করেছে। এছাড়া মেট্রোপলিটন পুলিশের অপরাধ বিভাগ ও গোয়েন্দা বিভাগ নগরীতে মাইকিংয়ের মাধ্যমে সরকারী নির্দেশনা প্রচারসহ অহেতুক ঘোরাফেরা করা ব্যক্তিদের বাড়িতে ফেরাতে কাজ করেছে।
রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের মুখপাত্র অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) উত্তম প্রসাদ পাঠক বলেন, সরকারী নির্দেশনা অমান্য করে যারা নগরীতে যানবাহন চালিয়েছে তাদের জরিমানা করেছে ট্রাফিক বিভাগ। তবে অন্যান্য সময়ের চেয়ে এ লকডাউন বাস্তবায়ন এবং করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে রংপুরবাসী নিজেকে ও আমাদেরকে সহযোগিতা করেছে।