রংপুরে পুলিশ পরিচয়ে হ্যান্ডকাপ পড়িয়ে যুবককে অপহরণ
মুক্তিপণের দাবি, থানায় মামলা
স্টাফ রিপোর্টার ♦ রংপুরে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে হ্যান্ডকাপ পড়িয়ে মইদুল ইসলাম ওরফে সোনা মিয়া (৪০) নামে এক যুবককে বাড়ি থেকে অপহরণসহ মুক্তিপণ দাবি ও মারপিটের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় ১০ এপ্রিল সকালে ভুক্তভোগীর বাবা নুর ইসলাম ওরফে আপাছ বাদী থানায় মামলা করেছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত ১০ এপ্রিল রাত ১টায় গঙ্গাচড়া উপজেলার আলমবিদিতর চওড়াপাড়া গ্রামের নুর ইসলাম আপাছের বাড়িতে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে অজ্ঞাত ৭ জন ঢুকে সোনা মিয়াকে মারপিট করে বাড়ি থেকে নিয়ে যায়। এ ঘটনাটি প্রতিবেশী সুরুজ মিয়া (৩৫) জেনে স্থানীয় ইউপি সদস্য রফিকুল ইসলামকে নিয়ে রাতেই সোনা মিয়াকে খুঁজতে বের হয়। ১০ এপ্রিল রাত ৩টার দিকে প্রতিবেশী সুরুজ মিয়া সোনা মিয়াকে বাবাকে ডেকে বলে দশ মিনিটের মধ্যে নগদ ৫ লাখ টাকা দিলে অপহরণকারীরা সোনা মিয়াকে ছেড়ে দেবে। এ কথা শুনে সোনা মিয়ার বাবার নুরু ইসলাম বাড়ি থেকে সাড়ে ৩ হাজার টাকা নিয়ে সুরুজ মিয়ার কাছে দেয়। তখন সুরুজ মিয়া আরও ১ লাখ ৪০ হাজার টাকার বিনিময়ে তার ছেলেকে অপহরণকারীরা ছেড়ে দেবে বলে জানায়। এরপর কিছুক্ষণ পর সুরুজ মিয়া সোনা মিয়ার চাচাতো ভাই নয়া মিয়াকে (৩৮) মোবাইল ফোনে নোহালী ইউনিয়নের ওয়ানুর ইসলামের চাতালে সামনে রাস্তায় যেতে বলে। পরিবারের সদস্যরা রাতে সেই চাতালে গিয়ে আহত অবস্থায় সোনা মিয়াকে উদ্ধার করে গঙ্গাচড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। এ ঘটনায় ১০ এপ্রিল অজ্ঞাত অপহরণকারীদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা হলে পুলিশ তা রোববার (১৬ এপ্রিল) পর্যন্ত রেকর্ড করেনি বলে অভিযোগ করেছেন, সোনা মিয়ার বাবা নুর ইসলাম।
তিনি বলেন, রাতের বেলা কিছু মানুষ আমার ছেলেকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে নির্যাতন করেছে। তারা আমার ছেলেকে অপহরণ করে টাকা চেয়েছিল। স্থানীয়দের ষড়যন্ত্রের কারণে এ ঘটনা ঘটেছে বলে আমি মনেকরি। এখন পর্যন্ত পুলিশ প্রশাসন আমার মামলা রেকর্ড করে নাই। আমি অন্যায়কারীদের বিচার চাই।
এ ব্যাপারে গঙ্গাচড়া মডেল থানার ওসি দুলাল হোসেন বলেন, ডিবি পুলিশ পরিচয়ে হ্যান্ডকাপ পড়িয়ে যুবককে বাড়ি থেকে তুলে নেয়ার ঘটনায় থানায় ভুক্তভোগীর বাবার অভিযোগ রেকর্ড করা হয়েছে। আমরা বিষয়টি তদন্ত করে দেখছি। হ্যান্ডকাপ কোথায় থেকে আসলে সেটিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তদন্ত শেষে আমরা প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেব।