রংপুরের জাহাজ কোম্পানীর কাপড়ের মার্কেটে অগ্নিকান্ড
আগুনে নেভাতে ফায়ার সার্ভিসের ৮টি ইউনিট
স্টাফ রিপোর্টার ♦ রংপুর নগরীর কাপড়ের মার্কেট মতিপ্লাজায় অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে। সোমবার (১৭ এপ্রিল) বিকেল ৩টার দিকে এ দূর্ঘটনা ঘটে। ফায়ার সার্ভিসের ৮টি ইউনিটের এক ঘন্টার প্রচেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও ব্যবসায়ীরা জানায়, রংপুর নগরীর কাপড়ের মার্কেট মতিপ্লাজার পেছনের দিকে জেনারেটরের মাধ্যমে ফোমের গোডাউনে আগুন লাগে। মুর্হুতে আগুন দাউ দাউ করে জ্বলে উঠলে কালো ধোঁয়ায় ছেয়ে যায় মতিপ্লাজা। এ সময় আতংঙ্কিত ব্যবসায়ীরা তাদের দোকানের কাপড়, জুতা-সেন্ডেল নিয়ে রাস্তায় দৌড়ে আসে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা ছুটে এসে আগুন নেভানোর কাজ শুরু করে। আগুন নিয়ন্ত্রণের বাহিরে চলে যেতে থাকলে ফায়ার সার্ভিসের ৮টি ইউনিটি কাজ শুরু করে। এক ঘন্টা প্রচেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এদিকে ঈদের আগে মার্কেটে আগুন লাগার ঘটনায় দিশেহারা হয়ে পড়েন অর্ধশত ব্যবসায়ী।
প্রত্যক্ষদর্শী বেলাল হোসেন বলেন, আমি দোকানে বসে আছি। হঠাৎ দেখতে পেলাম ধোঁয়া বের হচ্ছে। প্রথমে ভেবেছিলাম এটা রান্নার ধোয়া। কিন্তু পড়ে যখন কালো ধোয়া বের হওয়া শুরু করল তখন বুঝতে পারি মার্কেটে আগুন লেগেছে। পড়ে ফায়ার সার্ভিসে ফোন দেয়া হলে তারা আসে এবং আগুন নেভানোর কাজে লেগে পড়ে।
মতিপ্লাজার কাপড় ব্যবসায়ী সামি উন নাহার সামি বলেন, ঈদের আগে আমাদের বেচাকেনা ভালই চলছিল। ঈদকে ঘিরে আজই সবচেয়ে বেশি গ্রাহক মার্কেটে এসেছে। হঠাৎ করে একটি ছেলে এসে বললো জেনারেটর থেকে আগুন লেগেছে। আমরা আগুন লাগার কথা শুনে তাৎক্ষনিক বাহিরে থাকা কাপড়-চোপড় নিয়ে বাহিরে ছুটে আসি। পরে ফায়ার সার্ভিসে ফোন দিলে তারা আগুন নেভানোর কাজে লেগে পড়ে। আগুন যে জায়গায় লেগেছে ফায়ার সার্ভিস সেই জায়গা শনাক্ত করতে পেরেছে বলে বড় ধরনের দূর্ঘটনা থেকে বেঁচে গেছি।
রংপুর ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্সের উপ-পরিচালক আব্দুল হামিদ বলেন, আমাদের ৮টি ইউনিটের অক্লান্ত পরিশ্রমের কারণে আমরা দ্রæততম সময়ের মধ্যে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে পেরেছি। অগ্নিকান্ডের ঘটনায় বেশ কিছু দোকানের কাপড়সহ অন্যান্য পণ্য পুড়ে গেছে। আমরা ক্ষয়-ক্ষতির পরিমাণ ও আগুন লাগান কারণ অনুসন্ধানে একটি তদন্ত কমিটি করবো। সেই কমিটি আগামী ৭ কর্মদিবসের মধ্যে এনিয়ে প্রতিবেদন জমা দেবে।