শিক্ষকতা করলে ১ মাসের মধ্যে করতে হবে বিয়ে
এমন নোটিশ জারি করেছে একটি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক

নিউজডোর ডেস্ক ♦ শিক্ষকতায় যুক্ত হয়েছে ২০১৬ সালে। তখন থেকেই তাকে বিয়ে করার তাগিদ দিচ্ছিলেন তার সহকর্মীরা। কিন্তু তিনি ২০২৩ সালেও বিয়ে করেননি। ফলে ওই শিক্ষককে কেন্দ্র নতুন নোটিশ দিয়েছেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। যেখানে বলা হয়েছে, শিক্ষকতা পেশায় জড়িত হওয়ার ছয় মাসের মধ্যেই করতে হবে বিয়ে।
এমন ঘটনা ঘটেছে টাঙ্গাইলের গোপালপুর উপজেরার ধোপাকান্দি ইউনিয়নের সজনপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে। গত ২৬ জুলাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম তার প্রতিষ্ঠানের সহকারী শিক্ষক রনি প্রতাপ পালকে উদ্দেশ্য করে এমন জরুরী নোটিশ জারি করেছিলেন। যার পর থেকেই বিষয়টি নিয়ে এলাকায় বেশ তোলপাড়ের সৃষ্টি হয়েছে।
বুধবার (২৩ আগস্ট) এ ঘটনায় প্রধান শিক্ষক নজরুল ইসলামের অপসারণের দাবিতে বিদ্যালয়ের সামনে মানববন্ধন করেন শিক্ষার্থী, অভিভাবক, শিক্ষক ও এলাকাবাসী।
উক্ত নোটিশে বলা হয়েছে, স্কুলে যোগদানের পর বারবার মৌখিকভাবে বিয়ের জন্য তাগাদা দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু দুঃখের বিষয়, আপনি বিয়ে করেননি। বিদ্যালয়ে সহশিক্ষার ব্যবস্থা রয়েছে। ফলে অভিভাবকরা অবিবাহিত শিক্ষকদের প্রশ্ন করতে পারেন। তাই স্কুলের বৃহত্তর স্বার্থে আপনার বিয়ের কাজ শেষ করা উচিত এবং নোটিশ পাওয়ার ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে কর্তৃপক্ষকে জানাতে হবে।
এদিকে নোটিশ পাওয়ার দুই দিন পর ২৮ জুলাই শিক্ষক রনি প্রতাপ লিখিত জবাব দেন। জবাবে তিনি লেখেন, বাবা-মা আমাকে বিয়ে করার চেষ্টা করছেন। কিন্তু হিন্দু বিয়েতে জাত বা বর্ণ আছে। তাছাড়া হিন্দুরা শ্রাবণ থেকে কার্তিক পর্যন্ত বিয়ে করাকে শুভ মনে করে না। তাই পারিবারিক ও ধর্মীয় রীতিনীতির কারণে আমার বাবা-মা বললেন আগামী অগ্রহায়ণ মাসে আমার বিয়ে দেবেন।