বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিক প্রবেশে বাধা, যা বললেন জিএম কাদের

 

নিউজডোর ডেস্ক ♦ বিরোধী দলীয় নেতা, জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের এমপি বলেছেন, বিমান খাতে আমেরিকান কোম্পানী দেশে বিনিয়োগ করে তাদের মুনাফার সাড়ে ৩ হাজার কোটি টাকা নিয়ে যেতে পারছে না। যা ডোনাল্ড ল্যু তার বক্তব্যে বলেছেন। এমন চলতে থাকলে দেশে মানুষ ব্যবসা-বাণিজ্য করবে না। আমরা ধীরে ধীরে পরিত্যক্ত হয়ে যাচ্ছি। ডলার নিয়ে কেন এমন পরিস্থিতি তৈরী হল, তা মানুষকে বলতে হবে, জবাবদিহি করতে হবে। অথচ সরকার এসব গোপন করছে। সরকার বিদ্যুৎ খাতে, গ্যাস খাতে লুটপাট করেছে, প্রচুর টাকা বিদেশে পাচার হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংক ও সরকারী রেগুলেটারী বডি যেসব নিয়ম করছে, তা দূর্নীতিকে সহায়তা করছে। এমন পরিস্থিতি থেকে দেশকে উদ্ধার করতে হবে।

গেল রবিবার (১৯ মে) দুপুরে ৩দিনের সফরে রংপুরে এসে সার্কিট হাউজে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, রাইট টু ইনফরমেশনের জন্য আমরা যুদ্ধ করেছি। কিন্তু এ সরকারের কাছে সবকিছুই গোপনীয় তথ্য। যেটাই বলা হয়, সেটা নাকি রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি স্বরুপ। সংবিধানে আছে বিদেশে কোন কিছু চুক্তি হলে তা সংসদে উপস্থাপন করতে হবে। সব চুক্তির বিষয় সংসদে তোলা হচ্ছে না। জিএম কাদের বলেন, মানুষকে নানা বিষয়ে তথ্য প্রদান করে সংবাদ মাধ্যম। বাংলাদেশ ব্যাংকের সম্পদ হলো জনগণের। সরকার শুধু একটিকে ম্যানেজ করে। সেই ম্যানেজই ঠিকমত হচ্ছে কি না তা জানায় সাংবাদিকরা। কিন্তু সাংবাদিকদের তথ্য না দেওয়াটা অন্যায়।

উল্লেখ্য, গেল এক মাস ধরে সংবাদ তৈরিতে তথ্য সংগ্রহের কাজে সাংবাদিকদের বাংলাদেশ ব্যাংকে প্রবেশ করতে দেয়া হচ্ছে না। এ নিয়ে ক্ষুব্ধ সাংবাদিকরা বাংলাদেশ ব্যাংকের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন।

এরপরে বিষয়টি সমাধান করতে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার সাংবাদিক প্রতিনিধিদেরসাথে বৈঠক করেন।

বৈঠক শেষে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী কর্মকর্তা ও মূখপাত্র মেজবাউল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের সিদ্ধান্ত মতে এখন থেকে সাংবাদিকরা ব্যাংকের নির্দিষ্ট অনুমতিপত্র (প্রবেশ পাস) নিয়ে শুধু মুখপাত্রের কাছেই আসতে আসতে পারবেন। তবে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কোনো কর্মকর্তা যদি যদি সাংবাদিকদের পাশ দেন তবে সেই কর্মকর্তার কাছে যেতে পারবেন, এছাড়া অন্য কোনো ফ্লোরে যেতে পারবেন না।