আওয়ামী লীগ এখন জনগণের কাঁধে চড়ে বসেছে: জিএম কাদের

জিএম কাদের বলেন, অপ্রয়োজনীয় হাস্যকর কার্যক্রম করে যাচ্ছে আওয়ামী লীগ

স্টাফ রিপোর্টার ♦ বিরোধী দলীয় নেতা, জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের এমপি বলেছেন, আওয়ামী লীগ অনেক শক্তিশালী হয়েছে। তবে এটি দানবীয় শক্তি নাকি শুভ শক্তিতে। জনগণের প্রতি অত্যাচারে আওয়ামী লীগ সরকারের শক্তি বৃদ্ধি পেয়েছে। তাদের সংগঠনে কোন রাজনৈতিক এজেন্ডা দেখি না, কিছু পেশাজীবি ও সরকারী চাকুরীজীবি মিলে তারা সংঘবদ্ধ হয়েছে। আওয়ামী লীগ আগে জনগণকে ধারণ করতো, এখন জনগণের কাঁধে চেপে বসেছে। আগে তারা মানুষকে ছায়া দিত, এখন তারা পরগাছা হয়ে গেছে। তারা অপ্রয়োজনীয় হাস্যকর কার্যক্রম করে যাচ্ছে। সেখানে কাউকে পাত্তা দিচ্ছে না। বাহিরের মানুষকে হিসাব করছে না। 
রবিবার (১৯ মে) দুপুরে ৩দিনের সফরে রংপুরে এসে সার্কিট হাউজে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
জিএম কাদের বলেন,বিমান খাতে আমেরিকান কোম্পানী দেশে বিনিয়োগ করে তাদের মুনাফার সাড়ে ৩ হাজার কোটি টাকা নিয়ে যেতে পারছে না। যা ডোনাল্ড ল্যু তার বক্তব্যে বলেছেন। এমন চলতে থাকলে দেশে মানুষ ব্যবসা-বাণিজ্য করবে না। আমরা ধীরে ধীরে পরিত্যক্ত হয়ে যাচ্ছি। ডলার নিয়ে কেন এমন পরিস্থিতি তৈরী হল, তা মানুষকে বলতে হবে, জবাবদিহি করতে হবে। অথচ সরকার এসব গোপন করছে। সরকার বিদ্যুৎ খাতে, গ্যাস খাতে লুটপাট করেছে, প্রচুর টাকা বিদেশে পাচার হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংক ও সরকারী রেগুলেটারী বডি যেসব নিয়ম করছে, তা দূর্নীতিকে সহায়তা করছে। এমন পরিস্থিতি থেকে দেশকে উদ্ধার করতে হবে। 
তিনি আরও বলেন, রাইট টু ইনফরমেশনের জন্য আমরা যুদ্ধ করেছি। কিন্তু এ সরকারের কাছে সবকিছুই গোপনীয় তথ্য। যেটাই বলা হয়, সেটা নাকি রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি স্বরুপ। সংবিধানে আছে বিদেশে কোন কিছু চুক্তি হলে তা সংসদে উপস্থাপন করতে হবে। সব চুক্তির বিষয় সংসদে তোলা হচ্ছে না।  
জিএম কাদের বলেন, মানুষকে নানা বিষয়ে তথ্য প্রদান করে সংবাদ মাধ্যম। বাংলাদেশ ব্যাংকের সম্পদ হলো জনগণের। সরকার শুধু একটিকে ম্যানেজ করে। সেই ম্যানেজই ঠিকমত হচ্ছে কি না তা জানায় সাংবাদিকরা। কিন্তু সাংবাদিকদের তথ্য না দেওয়াটা অন্যায়।