রংপুর সিটি নির্বাচন: আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর উপর কঠোর নির্দেশনা
প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী নগরীতে যানবাহন চলাচল নিয়ন্ত্রণ করার নির্দেশনা
স্টাফ রিপোর্টার ♦ রংপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের নির্বাচনী সরঞ্জাম এরই মধ্যে পৌঁছে গেছে কেন্দ্রগুলোতে। সোমবার (২৬ ডিসেম্বর) দুপুরে নগরীর পুলিশ লাইন্স মাঠ থেকে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তারা কেন্দ্রে নিয়োগ পাওয়া পুলিশ ও আনসার সদস্যসহ নির্বাচনী সরঞ্জাম সংগ্রহ করেছেন। এর আগে সকালে নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করা পুলিশ সদস্যদের সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠান নিয়ে দিক নির্দেশনামূলক বক্তব্য রাখেন, রিটার্নিং কর্মকর্তা আব্দুল বাতেন ও মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার নুরে আলম মিনা। বিশেষ এ ব্রিফিংয়ে নির্বাচন চলাকালীন ভোট কেন্দ্রের ৪’শ মিটার এলাকায় ১৪৪ ধারা বজায় রাখা, নির্বাচনকে বিতর্কিত করে এমন কর্মকান্ড থেকে বিরত থাকা, কোন প্রার্থী কিংবা এজেন্টদের কাছ থেকে খাবার গ্রহণ না করা, নির্বাচন চলাকালীন জারি হওয়া প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী নগরীতে যানবাহন চলাচল নিয়ন্ত্রণ করার নির্দেশনা দেয়া হয়।
রংপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা আব্দুল বাতেন বলেন, একটি অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য ৬ স্তরের নিরাপত্তা বলয় তৈরী করা হয়েছে। আমাদের কেন্দ্রে নির্বাচনী সরঞ্জাম চলে গেছে। সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে। ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা ভোট গ্রহণের প্রস্তুতি নিচ্ছেন এবং কেন্দ্রে আইন শৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশ ও আনসার বাহিনী কাজ করছে। আগামীকাল সকাল সাড়ে ৮টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত নির্বিঘেœ ইভিএমের মাধ্যমে ভোটগ্রহণ করা হবে।
রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার নুরে আলম মিনা বলেন, আমরা এ নির্বাচনে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে যে ফোর্স চেয়েছিলাম তার চেয়ে বেশি ফোর্স পেয়েছি। এ নির্বাচনে কেউ বিশৃঙ্খলা করার সুযোগ পাবে না। এটি রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ গঠনের পর প্রথম সিটি নির্বাচন। তাই এ নির্বাচনকে মডেল নির্বাচন করতে আমরা বদ্ধপরিকর।
রংপুর নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা যায়, রংপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে প্রতিটি সাধারণ ভোটকেন্দ্রে একজন পুলিশ কর্মকর্তাসহ দুজন কনস্টেবল, দু’জন অস্ত্রধারী আনসার, ১০ জন আনসার-ভিডিপি’র সদস্যসহ মোট ১৫ জনকে মোতায়েন করা হবে। গুরুত্বপূর্ণ ৮৬টি ভোটকেন্দ্রে একজন পুলিশ কর্মকর্তাসহ ৩ জন কনস্টেবল, ২ জন অস্ত্রধারী আনসার ও ১০ জন আনসার-ভিডিপি’র সদস্যসহ মোট ১৬ জনকে মোতায়েন করা হবে। নগরীর ৩৩টি ওয়ার্ডে ১১ প্লাটুন বিজিবি, ১৭টি র্যাবের টিম, পুলিশ, এপিবিএনও ব্যাটালিয়ন আনসারের সমন্বয়ে প্রতিটি ওয়ার্ডে ১টি করে মোবাইল ফোর্স, ১১টি স্ট্রাইকিং ফোর্স ও ৬টি রিজার্ভ স্ট্রাইকিং ফোর্স কাজ করছে। এছাড়া নির্বাচনে শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষায় নগরীর ৩৩টি ওয়ার্ডের জন্য ৩৩ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও ১৬ জন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করবেন।