পণ্য আমদানীতে এলসি ওপেনে ব্যবসায়ীদের ক্ষতির সুযোগ নেই
বিলাসজাত পণ্য আমদানী কমিয়ে ডলার সাশ্রয় করা হচ্ছে
স্টাফ রিপোর্টার ♦ বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি এমপি বলেছেন, রমজান মাস উপলক্ষে ৮টি নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য আমদানীতে এলসি জিরো মার্জিন অথবা নূন্যতম মার্জিন করা হয়েছে। পরবর্তীতে নিয়ম অনুযায়ী ৬ মাস পর সেই পণ্যের বকেয়া পরিশোধ করতে পারবেন। এলসি ওপেনের কারণে অন্য ব্যবসায়ীদের ক্ষতি হওয়ার সুযোগ নেই। বুধবার দুপুরে রংপুর ডায়াবেটিক সমিতির নেতৃবৃন্দের সাথে মতবিনিময় সভায় যোগদিতে এসে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, ডলারের দাম বাড়ার কারণে আমদানী পণ্যের দাম বেড়েছে। সে হিসেবে ডলারের মূল্য ধরে পণ্যের মূল্য নির্ধারণ করা হচ্ছে। তাই অন্যান্য দেশের তুলনায় আমাদের দেশে মুদ্রাস্ফিতি কম রয়েছে। আমদানী ব্যয় কমাতে প্রধানমন্ত্রী আমাদের সাশ্রয়ী হতে বলেছেন। দেশের শতকরা ৪০ ভাগ বিদ্যুত খরচ কম হয়েছে। বর্তমানে আমদানী ও রপ্তানী সূচকের মধ্যে পার্থক্য কমে এসেছে। বিলাসজাত পণ্য আমদানী কমিয়ে ডলার সাশ্রয় করা হচ্ছে।
টিপু মুনশি এমপি বলেন, দেশে আমদানী নির্ভর পণ্য ডাল, তেল, চিনি এগুলোর দাম কিছুটা বেড়েছে। কারণ বিশ্ববাজারে এসব পণ্যের দাম বেড়েছে। তবে দেশে কৃষিজাত পণ্যের দাম কম রয়েছে। আগামী দু-তিন মাস এমন পরিস্থিতি চলতে পারে। দেশের মানুষের ক্রয় ক্ষমতার সীমাবদ্ধতা রয়েছে। তাই যতদিন পর্যন্ত প্রয়োজন ততদিন টিসিবি’র মাধ্যমে এক কোটি পরিবারকে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য দেয়া হবে।