পাশে দাঁড়াও সংগঠনের উপহার ঘর পেয়ে খুশি বৃদ্ধা গোলেজান
একঝাঁক তরুণ-তরুণীর মানবসেবায় ব্রত নিয়ে রাতদিন ছুটে চলা
আরমান হোসেন ♦ ধীরে ধরে আলোচনায় উঠে আসছে সংগঠন “পাশে দাঁড়াও”। মানবসেবায় নিরন্তর পথচলা এই শ্লোগানকে ধারণ করে সামাজিক বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে ইতোমধ্যেই দিনাজপুরের আইডল সংগঠন হিসেবে স্থান করে নিয়েছে।
করোনা মহামারিতে একঝাঁক তরুণ-তরুণীর মানবসেবায় ব্রত নিয়ে রাতদিন ছুটে চলা অসহায়, কষ্টে থাকা মানুষগুলোর জন্য।
সংগঠনটির প্রতিষ্ঠারগ্ন থেকে চিরিরবন্দর উপজেলার বিভিন্নস্থানে মানুষের মৌলিক চাহিদা পূরণের লক্ষ্যে করোনা সংকটে ফ্রি অ্যাম্বুলেন্স, হুইল চেয়ার বিতরণ, খাদ্য সামগ্রী বিতরণ, গৃহ নির্মাণ, চিকিৎসা সহায়তা, রমজান মাসজুড়ে ইফতার বিতরণ, কণ্যাদ্বায়গ্রস্ত পিতাকে আর্থিক সহায়তা, আর্থিক সহায়তাসহ প্রদানসহ বিভিন্ন সামাজিক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে এগিয়ে যাচ্ছে সংগঠনটি।
চিরিরবন্দরের ভিয়াইল ইউনিয়নের রঘুনাথপুর গ্রামের ৮০ বছরের বিধবা গোলেজান বিবি। বয়স্কভাতার টাকা দিয়ে কোনমতে খেয়ে না খেয়ে থাকতেন জরজীর্ণ ঝুপড়ি ঘরে। সেই গোলেজানকে একটি টিনের ঘর দিয়ে পাশে দাঁড়াল সংগঠন “পাশে দাঁড়াও”।
গেল ৮ সেপ্টেম্বর ঘরের চাবি তুলে দেন সময় টিভির প্রতিনিধি গোলাম নবী দুলাল।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, সংগঠনের সভাপতি মাহফুজুল ইসলাম আসাদ, যুগ্ম সম্পাদক প্রদীপ কুমার, সামিউর রহমান রিমন, দৌলাতুন নাহার সাথী, ভরত রায় প্রত্যয়, গোলাম মোস্তফা নীরব, এম. এ সবুজ, সম্পদ শাহ, শাহীন শাহ, বিক্রম সরকার, আক্তার হোসেন, জয় শর্মা, সোহান, আসিফ এলাকার গণ্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ।
মাথা গোজার ঠাই ঘর পেয়ে গোলেজান বিবি আবেগে আপ্লুত হয়ে বলেন, মোক দেকার কায়ো নাই বাহে, খুব কষ্ট করি আছিনু ঝুপরিটাত, এখন নয়া ঘর পানু বাকি জিবনটা এনা আরামে থাকির পারিম, মুই সারাজিবন দোয়া করিম তোমার তনে।