রংপুরে পাওনা টাকার দাবীতে নারীর লাশ কবর খুঁড়ে উত্তোলনের চেষ্টা 

খোঁড়া কবর দেখতে উৎসুক জনতার ভিড়

রংপুরে পাওনা টাকার দাবীতে নারীর লাশ কবর খুঁড়ে উত্তোলনের চেষ্টা 

স্টাফ রিপোর্টার ♦ রংপুরে পাওনা টাকার দাবীতে এক মৃত নারীর লাশ কবর খুঁড়ে উত্তোলনের চেষ্টা করা হয়েছে। এ ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে রাসেনা নামে এক নারীকে আটক করেছে পুলিশ। সোমবার তারাগঞ্জ উপজেলার খিয়ারজুম্মা কবরস্থানে এ ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ, নিহত নারীর পরিবার ও স্থানীয়রা জানায়, উপজেলার হাড়িয়ারকুঠি ইউনিয়নের জুম্মাপাড়া গ্রামের দিনমজুর আব্দুল গফুর অসুস্থ থাকায় স্ত্রী শাহেদা বেগম (৫১) দিন মজুরি করে সংসার চালাতেন। তিনি সরকারের কর্মসৃজন প্রকল্পের শ্রমিক ছিলেন। শাহেদা বেগম ঈদের দুই দিন আগে স্ট্রোক করেন। ৭ জুন শাহেদা মারা গেলে খিয়ারজুম্মা কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। সোমবার সকাল সাড়ে ৮টায় শাহেদার কাছে ১লাখ ২০ হাজার টাকা পাবে এমন দাবি নিয়ে তার বাড়িতে যান একই গ্রামের জোনায়েদ হোসেনের স্ত্রী রাসেনা বেগম। শাহেদার ছেলে-মেয়েরা টাকা দিতে রাজি না হলে শাহেদার কবর খুঁড়তে যান রাসেনা ও তার স্বামী জোনায়েদ হোসেন। তাদের কবর খোঁড়া দেখতে পেয়ে স্থানীয়রা চিৎকার দিলে রাসেনা বেগম ও তার স্বামী পালিয়ে যান। পরে গ্রামের শত শত লোক কবরস্থানে ছুটে আসেন। খবর পেয়ে পুলিশ দুুপুরে ঘটনাস্থলে যান এবং রাসেনাকে আটক করেন থানায় নিয়ে আসেন। মৃত শাহেদা বেগমের কন্যা সাবিনা বেগম অভিযোগ করে বলেন, টাকা পাবে কোনো প্রমাণ নেই। অথচ তারা আমার মায়ের কবরস্থানে লাশ বের করার জন্য কোদাল দিয়ে মাটি খুঁড়েছে। এলাকার শত শত মানুষ কবরস্থানে গিয়ে দেখেছে। আমি তাদের সঠিক বিচার চাই। থানা হাজতে আটক রাসেনা বেগম বলেন, ৬ মাস আগে শাহেদার ছেলে সহিদার রহমানের জামিন করার সময় এক লাখ ২০ হাজার টাকা নিয়েছে শাহেদা। আমি ৫০ হাজার টাকা গরু বিক্রি করে ও ৭০ হাজার টাকা ব্র্যাক থেকে ঋণ নিয়ে দিয়েছি। টাকা না দিয়ে এখন আমার নামে বদনাম ছড়াচ্ছে। তারাগঞ্জ থানার ওসি মোস্তাফিজার রহমান বলেন, লোক মাধ্যমে ঘটনাটি জানার পর সরেজমিনে গিয়ে কবরের মাটি সরানো দেখেছি। সেখানে হাজার উৎসুক লোকজন জড়ো হয়। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রেখে রাসেনাকে আটক করে থানায় আনা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।